তজুমদ্দিনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুলের কারণে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা:

তজুমদ্দিনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুলে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা ।

মো. নোমান,

তজুমদ্দিন (ভোলা):

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখার দুশ্চিন্তায় কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন তনু রানী দাস (১৯) নামের এক কলেজছাত্রী।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।তনু রানী দাস উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালি বাজার শায়েস্তাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক বিতিস চন্দ্র দাস ও গৃহিণী উজ্জলা রানী দাস দম্পতির একমাত্র মেয়ে। তিনি তজুমদ্দিন হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিচ্ছিলেন।তনুর মা জানান, “সোমবার জীববিজ্ঞান প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে তনু অস্থির হয়ে পড়ে। বলছিল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল করে ফেলেছে। সে বারবার বলছিল, ‘মা, আমি পাস করব না।’ আমরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। এমনকি সে কলেজের শিক্ষকদের কাছেও গিয়েছিল, তারাও সান্ত্বনা দিয়েছিল।”কিন্তু রাত সাড়ে ৯টার দিকে, পরিবারের সবাই তার চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখে, সে পানের বরজের জন্য ঘরে রাখা কীটনাশক পান করেছে। দ্রুত তাকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। রাত ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।ভোলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. জুনায়েদ হোসেন জানান, “তনুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। কীটনাশক পানে তার মৃত্যু হয়েছে।”তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, “এইচএসসি পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখার কারণে কলেজছাত্রী তনুর আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।”সম্পাদকীয় মন্তব্য:এই মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ, আত্মবিশ্বাসের অভাব ও পরীক্ষাভীতির বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবার— উভয় পক্ষেরই প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে আরও দৃঢ় করে গড়ে তোলা, যাতে তারা সাময়িক ভুলকে জীবন-মৃত্যুর প্রশ্নে পরিণত না করে।—

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *