ভোলায় ৩৬ জুলাই বিজয় মিছিল: বিএনপি, জামায়াত, চরমনাই,এনসিপির যুগপৎ কর্মসূচি গণঅভ্যুত্থান দিবসে।

ভোলায় ৩৬ জুলাই বিজয় মিছিল: বিএনপি-জামায়াত-চরমোনাই-এনসিপির যুগপৎ কর্মসূচি গণঅভ্যুত্থান দিবসে ।

ভোলা প্রতিনিধি:আব্দুল মান্নান।

৩৬ জুলাই (প্রতীকী গণঅভ্যুত্থান দিবস) উপলক্ষে ভোলায় বিরোধী রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।এই দিনটিকে ঘিরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) ও ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি (এনসিপি) পৃথকভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করলেও বার্তাটি এক:“স্বৈরাচার হটাও, গণতন্ত্র ফিরাও”। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)৩৬ জুলাই বিজয়ের বার্ষিকী উপলক্ষে ভোলাসহ সারাদেশে থানা ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।পরদিন ৬ আগস্ট জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, ৬ আগস্ট দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হবে।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সব নেতাকর্মীদের রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীগণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ভোলা জেলা জামায়াত আয়োজন করছে বিশাল গণমিছিল।

৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট), সোমবার বিকাল ৪টায়,ভোলা প্রেসক্লাব সংলগ্ন কাফিল মসজিদের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হবে।সকলকে রাজপথে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই)চরমোনাইপন্থী এই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলটি ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজন করেছেসমাবেশ ও গণমিছিল।সময়সূচি: সোমবার বিকাল ৩টা,স্থান: হাটখোলা মসজিদ চত্বর, কালিনাথ রায়ের বাজার, ভোলা।প্রতিপাদ্য: “কল্যাণময় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ দীপ্ত প্রত্যয়ে”। ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি (এনসিপি)রাজনৈতিক সংস্কার ও স্বচ্ছ গণতন্ত্রের দাবিতে এনসিপি এবারের ৩৬ জুলাইকে দিচ্ছে গণজাগরণের রূপ।তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে “৩৬ জুলাই হলো প্রতীকী বিজয়ের দিন। আমরা এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শপথ নিই।”ভোলা ও অন্যান্য জেলায় এনসিপি’র কর্মীরা বিভিন্ন প্রচারাভিযান, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা পরিচালনা করবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:বিরোধী চার দলের এই যুগপৎ কর্মসূচি ভোলায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে।রাজনীতিবিদদের মতে,“৩৬ জুলাইয়ের প্রতীকী কর্মসূচি শুধু স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের আন্দোলনের সূচনা। একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে এই শক্তিগুলোর সম্মিলন সামনে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *